জাল - Tanjib's Log

Tanjib's Log

Tanjib's Log

Recent

জাল

মশার কামড় খুব একটা খারাপ লাগছেনা এখন। মরা লাশ হলে ভালো হত, মশার কামড় দূরে থাক বাঘের কামড়ও টের পেতাম না। আচ্ছা লাশতো মরাই হয়, তবে “মরা লাশ” নিশ্চয়ই বাহুল্য দোষে দুষ্ট। মরা মানুষ বলা যেতে পারে। ইচ্ছা হলেই “মরা মনুষ্য” কাটিয়ে আলো জ্বেলে দিতে পারি। মশারি টানিয়ে সুখনিদ্রায় যেতে পারি। তাতে আমার সুখ কতটুকু হবে জানিনা, নিদ্রা সামান্যতম ও হবে না সেটা জানি। নিজের শরীরকে শাস্তি দেয়ার এই একটা ব্যবস্থা করেছি আমি। নিজের শাস্তি পাওয়াও হয় আবার স্রষ্টার বুভুক্ষু সৃষ্টির প্রয়োজনও মিটে। আলো নিভিয়ে জানালা খুলে পুরো ন্যাংটো হয়ে মশার কামড় খাওয়া হল নিজেকে প্রদত্ত আমার গুরু বা লঘু দণ্ড। নোংরা ড্রেনের সহজলভ্যতায় মশার অভাব হয়না কখনো। সিটি কর্পোরেশনের মশকনিধন কর্মসূচি এ গলির মশাদের গা সওয়া হয়ে গেছে। মশার কাছ থেকে মানবজাতির “ইম্যুনিটি স্ট্রেন্দেনের” গোপনসূত্র জানার চেষ্টা করা উচিৎ।
প্রথম কয়েকটা কামড় সুঁইয়ের মত বিঁধে। শরীরের স্বাভাবিক রিফ্লেক্স মান্য করে অনিচ্ছাসত্ত্বেও হাত কখনো উঠে যায় নিরপরাধ  মশার উপরে। নিজেকে সামলে নিতে মিনিটখানেক সময় লাগে। চেষ্টা করছি যাতে এই সময়টা শুন্যের কাছাকাছি আনা যায় কিনা।
যে যে স্থানে মশা হুল ফুটায়, মনে হয় সেসব স্থান থেকে মশা শুষে নিচ্ছে রক্তের সাথে সাথে শুয়োরের স্পর্শ। শুধু ঠোঁট স্পর্শ করতে পারে না মশাগুলো। এর কারণ অবশ্য জানা নেই। জানা থাকলে ভালো হত, ব্যবস্থা নিতাম মশার ভয় কাটানোর। একটা পরিক্ষা অবশ্য করা যায়। পলিথিনে মশা আটকে খোলা অংশ মুখে চেপে ধরা। কার্বন-ডাই-অক্সাইড মশাকে আকৃষ্ট করে জানি, কিন্তু আধিক্য হানিকর নিশ্চয়ই।
ভালবাসাও আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। আসল-মেকির পার্থক্য বুঝিনি। সমদামে নকল মধুই পরিমাণে বেশি থাকে। ভালবাসা কিংবা মেকি ভালবাসার আধিক্যে এখন নিজেকে প্রতিনিয়ত সঁপে দিতে হচ্ছে শুয়োরের দেহতলে। সুকৌশলে তোলা ভিডিওতে তার অস্পষ্ট চেহারার বিপরীতে আমার উজ্জ্বল মুখচ্ছবি এখন প্রতিনিয়ত আমার প্রতি পরিহাসের হাসি হাসে।

No comments:

Post a Comment